আবুধাবি টি-১০ লিগে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ টাই দিয়ে শেষ করলো বাংলা টাইগার্স। নখ কামড়ানো উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে বাংলা টাইগার্সের দেওয়া ১০৯ রানের লক্ষ্যে খেলা এউইন মরগানের দিল্লি বুলস থামে বাংলা টাইগার্সের সমান ১০৮ রানেই।
টস জিতে আগে ব্যাট করা বাংলা টাইগার্স আগের ম্যাচের মত পায়নি ঝড়ো শুরু। কর্ণাটক টাস্কার্সের বিপক্ষে ঝড়ো ইনিংস খেলা আন্দ্রে ফ্লেচার ফেরেন ৪ বলে ৮ রান করে। কলিন ইনগ্রামও ফেরেন দ্রুত (৪)। এরপর রাইলি রুশো ও আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক টম মুরস ৩১ রানের জুটিতে বাড়ান দলের সংগ্রহ।
১৬ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৭ রান করে রুশো ফিরলে ভাঙে জুটি। ৪ রানের ব্যবধানে ফেরেন ১৩ বলে ১ চার ২ ছক্কায় ২২ রান করা টম মুরসও। ৭১ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া বাংলা টাইগার্সের রানের চাকা ঘোরান ডেভিড ভিসা। ১০ বলে ২ ছক্কায় তিনি করেন ২০ রান। ১১ রান আসে রবি ফ্রাইলিঙ্কের ব্যাট থেকে।
মোহাম্মদ নবি, রবি রামপালদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে ৭ উইকেটে ১০৮ রানে থামে বাংলা টাইগার্স। ২ ওভারে সমান ১৩ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন আফগান অফ স্পিনার নবি ও ক্যারিবীয় পেসার রবি রামপাল। ৩১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার আলি খানের, একটি উইকেট পান চামিরা।
জবাবে ১০ রানে ওপেনার মুহাম্মদ উসমানকে হারালেও কুশল পেরেরা ঝড়ে পাওয়ার প্লের তিন ওভারেই দিল্লির স্কোরবোর্ডে ওঠে ৩৭ রান। রাদারফোর্ডকে নিয়ে ৫২ রানের জুটিতে জয়ের দিকেই এগোতে থাকেন কুশল। ১৮ বলে ৮ চার ১ ছক্কায় ৪৩ রান করে কুশল যখন ফেরেন তখনও দিল্লির জয় ছিল নাগালের মধ্যেই। ১ রানের ব্যবধানে রাদারফোর্ড (১৮) ফিরলে ম্যাথুসকে নিয়ে দলকে প্রায় জয়ের বন্দরেই নিয়ে যান অধিনায়ক এউইন মরগান।
শেষ ওভারে দিল্লি বুলসের দরকার পড়ে ১৭ রান। প্রথম চার বলে ১৩ রান নিয়েও ফেলেন মরগান-ম্যাথুস। শেষ দুই বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ রান। পঞ্চম বলে দুইরান নিতে গিয়ে ম্যাথুস রান আউটে কাটা পড়লে শেষ বলে প্রয়োজন হয় ৩ রান। কিন্তু এউইন মরগান নিতে পারেন দুই রান। ফলে টাইয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ম্যাচ। ১৫ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মরগান, আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে ১৭ রান আসে ম্যাথুসের ব্যাট থেকে। বাংলা টাইগার্সের হয়ে একটি করে উইকেট নেন লিয়াম প্লাংকেট, কায়েস আহমেদ ও কেভিন কোট্টিগোডা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলা টাইগার্স ১০৮/৭ (১০), ফ্লেচার ৮, রুশো ২৭, ইনগ্রাম ৪, মুরস ২২, ফ্রাইলিঙ্ক ১১, পেরেরা ৬, ভিসা ২০, চিরাগ ৪*, প্লাংকেট ২*; নবি ১৩/২, চামিরা ১৭/১, রামপাল ১৩/২, আলি খান ৩১/২
দিল্লি বুলস ১০৮/৪ (১০), পেরেরা ৪৩, উসমান ১, রাদারফোর্ড ১৮, মরগান ২৭*, ম্যাথুস ১৭, নবি ০*; প্লাংকেট ১৭/১, কায়েস ১৬/১, কেভিন ২০/১
ফলাফলঃ ম্যাচ টাই
ম্যাচসেরাঃ কুশল জেনিত পেরেরা (দিল্লি বুলস)।
তিন ম্যাচে সমান একটি করে জয়, হার ও টাইয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে ‘এ” গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় স্থানে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে বাংলা টাইগার্স। সুপার লিগের তিন ম্যাচে তারা মুখোমুখি হবে টিম আবুধাবি, নর্দান ওয়ারিয়র্স ও মারাঠা অ্যারাবিয়ানসের। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ১৯, ২০ ও ২২ নভেম্বর একই ভেন্যুতে (শেখ জায়েদ স্টেডিয়াম)।