আসন্ন আবুধাবি টি১০ ক্রিকেট লীগের ৫ম আসরে বাংলা টাইগার্সের বোলিং কোচ হিসাবে নতুন ইনিংস শুরু করেছেন সাবেক অষ্ট্রেলিয় পেসার শন টেইট । চুক্তি স্বাক্ষরের পর শন টেইট বলেন, এর আগে আমি কখনো টি১০ লীগের সাথে যুক্ত ছিলাম না, এবারই প্রথম, স্বভাবতই আমি খুবই উত্তেজিত। আমি মনে করি, বাংলা টাইগার্সের কোচ হওয়া আমার জন্য একটা বড় সুযোগ ।
গতিময় বিধ্বংসী স্পেলে প্রতিপক্ষকে গুড়িয়ে দেয়ার জন্য “দ্য ওয়াইল্ড থিংস” নামে পরিচিত শন টেইট কে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যিনি নিয়মিতভাবে ১৫৫+ কিঃমিঃ গতিতে বল করতে সক্ষম । ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লর্ডসে ১৬১.৬ কিঃ মিঃ গতিবেগে ছোড়া তার একটি বল সর্বকালের ২য় সেরা গতিময় বল হিসাবে স্বীকৃত । এছাড়াও ২০১০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০ ম্যাচে তার বলের গতিবেগ উঠেছিল ১৬০ কিঃমিঃ ! যা এখনো পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে করা যে কোন বোলারের সর্বোচ্চ গতিবেগ !
অস্ট্রেলিয়ান ঘরোয়া টুর্নামেন্ট পিউরা কাপে রেকর্ড ভাঙ্গা পারফরম্যান্সের সুবাদে টেষ্ট ক্রিকেটে টেইটের অভিষেক হয় ২০০৫ সালের অ্যাসেজ সিরিজে । কিন্তু তার প্রথাবিরোধী বোলিং স্টাইল এবং প্রতিনিয়ত বোলিংয়ের গতি বাড়ানোর প্রানান্ত প্রচেষ্টার ধকল তার কাধ বহন করতে পারে নি , তাই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তার কাধে অস্ত্রপচার করতে হয় ।
ইনজুরি থেকে ফেরার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ মিশনে অস্ট্রেলিয়ার স্ট্রাইক বোলার ছিলেন শন টেইট এবং ২৩ উইকেট নিয়ে মুত্তিয়া মুরালীধরনের সাথে যৌথভাবে সে টুর্নামেন্টের ২য় সেরা উইকেট শিকারী হয়েছিলেন ।
কিন্তু এরপর আবারো বিরতি ! শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার কারণে ২০০৮ সালের জানুয়ারী তে তিনি অনির্দিষ্ট কালের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অব্যাহতি নেন । পরবর্তিতে আবারো খেলায় ফেরার পর টি২০ এবং ওয়ান ডে অধিক প্রাধান্য দিতে তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ২০০৯ সালে । কারণ হিসাবে বলেছিলেন তিনি বলের গতি’র সাথে কোন আপোষ করবেন না, কিন্তু ৫ দিন ধরে একই গতিতে বোলিং করার ধকল তার শরীর বহন করতে পারবে না!
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সর্বমোট ৩ টি টেস্ট ম্যাচ, ৩৫ টি ওয়ান ডে এবং ২১ টি টি টুয়েন্টি খেলেন শন টেইট । এছাড়া ও তিনি আইপিএল, বিপিএল, বিগ ব্যাশ সহ বিশ্বের অভিজাত ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লীগ গুলোতে ও নিয়মিত খেলেছেন !
২০১৭ সালের মার্চে এলবো ইঞ্জুরির কারণে তিনি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহন করেন !
বাংলা টাইগার্স আশাবাদী যে, বিশেষ করে ছোট দৈর্ঘের ক্রিকেটে তার দুর্দান্ত খেলোয়াড়ি জীবন এবং অভিজ্ঞতা বাংলা টাইগার্স কে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে অন্যতম সহায়ক হিসাবে ভুমিকা রাখবেন !